ডেঙ্গু প্রতিরোধে করনীয়

বর্ষাকাল মানেই মশার উপদ্রব। আর সেই মশা যদি এডিস মশা হয় তাহলে ভয়ের কারণটা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বিশেষত রাজধানী ঢাকায় এডিস মশার প্রভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার। তাই এই জীবাণু থেকে বাঁচতে হলে থাকতে হবে সচেতন এবং পরিচ্ছন্ন।
ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা বা এডিস মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে কয়েক দিনের মধ্যেই সেই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। বেশির ভাগ ডেঙ্গু ছয়-সাত দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে ডেঙ্গু হেমোরেজিক বা রক্তক্ষরণজনিত এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে ভয়াবহতা বেশি। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নিলে ঝুঁকি থাকে।
লক্ষণ
• জ্বর (সাধারণত ১০১ সে.-এর ওপরে থাকে)
• মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ও চোখের পেছনে ব্যথা, অরুচি বা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
• বিভিন্ন স্থানে হামের মতো র্যাশ (লালচে দানা) হতে পারে।
• হেমোরেজিক বা রক্তক্ষরণজনিত ডেঙ্গু হলে দাঁত ও মাড়ির গোড়া থেকে, নাক দিয়ে বা বমির সঙ্গে, পায়ুপথসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে রক্তপাত হতে পারে।
করণীয়
• রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
• ডেঙ্গু হলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে রোগীকে যথেষ্ট পরিমাণে পানি, ফলের রস বা তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।
• নির্ধারিত কোনো চিকিৎসা নেই। জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ ছাড়া ব্যথানাশক অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাকজাতীয় ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। এতে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
• রক্তক্ষরণের লক্ষণ দেখামাত্র হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
• কারো ডেঙ্গু হলে মশারি ব্যবহার করে রোগীকে আলাদা রাখুন। এতে অন্যরাও রক্ষা পাবে।
• প্লাটিলেটের সংখ্যা এক লাখের নিচে নামলে সতর্ক হতে হবে। মানুষের দেহে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা হলো দেড় লাখ থেকে চার লাখ।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেকোনোভাবেই হোক এডিস মশা দমন করতে হবে। এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা, বিশেষ করে বাসাবাড়ির আশপাশে তিন দিনের বেশি স্বচ্ছ পানি জমিয়ে রাখা উচিত নয়। মোট কথা, মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে করণীয় সব কিছু করতে হবে।