“কত ব্যথা বুকে চাপালেই তাকে বলি আমি ধৈর্য!”

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ (নিটার) এ চলছে “শিক্ষক-ছাটাই” এর ঝড়। গত ১৯ জুলাই তারিখ আইপিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব মাহামুদুল হাসানকে অব্যহতি দেওয়ার পর আবারও অব্যহতি দেওয়া হলো দুই শিক্ষককে। ৩০ জুলাই (শনিবার) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই প্রভাষক জনাব এস এম আশিক এবং জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিককে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। আজ (শনিবার) নিটার গভর্নিং বডির জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা যায়।
অফিস আদেশে জনাব মাহামুদুল হাসানকে অব্যহতির কারণ না জানালেও এই দুই শিক্ষককে অব্যহতি দেওয়ার পেছনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিটারের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক অসত্য তথ্য প্রদান, নিটারের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা এবং গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে অপ্রচার ইত্যাদি কারণ দেখানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিটার প্রশাসনের একজন জানান, “আসলে এটা এক ধরণের খামখেয়ালি। এই শিক্ষকেরা সবাই সব সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলতেন জা অনেক সময় কর্তৃপক্ষের মতের সাথে মিলতো না। বিটিএমএ (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন) চায় এই প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি প্রাইভেট অনুশাসনে চলুক। এজন্য যেসব শিক্ষকেরা তাঁদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন তাদেরকে এক এক করে জোরপূর্বক অব্যহতি দেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে নির্বিচারে প্রতিষ্ঠানের পুরোনো শিক্ষকদেরকে চাকরিচ্যুত করায় ক্ষুব্ধ অধ্যায়নরত এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আবু তৈয়ব নামে এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী জানান, “এই বিষয়টি যে নতুন এমন না। বিটিএমএ এই প্রতিষ্ঠানে এমন কাজ আগেও করতো। অথচ ক্যাম্পাসের কোন সমস্যায় শিক্ষার্থীরা তাদেরকে কখনোই পাশে পায় না। সকল নিটারিয়ানের পক্ষ থেকে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।” এছাড়াও গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও বিটিএমএ এর সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলী খোকনের ঘনিষ্ট ব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবাদে এই ঘটনায় নিটারের পূর্ববর্তী দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মিজানুর রহমানের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, নিটার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদের একটি উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠান যা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নীতিতে পরিচালিত হয়। পাঠ ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশন ২০০৯ সালে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন (বিটিএমএ) এর নিকট।